বাক্যে ক্রিয়ার সঙ্গে অন্যান্য পদের যে সম্বন্ধ, তাকে কারক বলে। কিন্তু ক্রিয়াপদের সঙ্গে সম্পর্ক না রেখে যে নামপদ বাক্যস্থিত অন্য পদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হয়, তাকে সম্বন্ধ পদ বলে। যেমন: রামের ভাই ঢাকা যাবে।
এখানে 'রামের' সঙ্গে 'ভাইয়ের' সম্পর্ক আছে কিন্তু 'যাবে' ক্রিয়াপদের সঙ্গে কোনো সম্বন্ধ নেই।
সুতরাং ক্রিয়ার সঙ্গে সম্বন্ধ পদের কোনো সম্পর্ক নেই বলে সম্বন্ধ পদ কারক নয়।
সম্বন্ধ পদের বিভক্তি
ক. সম্বন্ধ পদে ষষ্ঠী ('র' বা 'এর') বিভক্তি হয়। যেমন: সোনার সোনার (থালা)। তারেক + এর = তারেকের (ভাই)।
খ. সময়বাচক অর্থে সম্বন্ধ পদে কার কের বিভক্তি যুক্ত হয়। যেমন: আজি কার আজিকার > আজকের (খবর)। পূর্বে কার পূর্বেকার (ঘটনা)।
সম্বোধন পদ
সম্বোধন অর্থ 'আহ্বান'। যাকে সম্বোধন বা আহ্বান করে কিছু বলা হয়, তাকে সম্বোধন পদ বলে। যেমন:
ওহে ইকবাল, এদিকে এসো।
মাধবী, এখানে এসো।
এখানে 'ইকবাল' ও 'মাধবী' সম্বোধন পদ। কারণ তাদেরকে আহ্বান বা সম্বোধন করে কিছু বলা হয়েছে।
সম্বোধন পদ বাক্যের অংশ কিন্তু এই সম্বোধন পদের সঙ্গে বাক্যের ক্রিয়াপদের কোনো সম্পর্ক নেই। বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সঙ্গে কোনো সম্বন্ধ থাকে না বলে সম্বোধন পদ কারক নয়।
বিভিন্ন কারকে একই বিভক্তির প্রয়োগ
সকল কারকে 'শূন্য' বিভক্তির প্রয়োগ
কর্তৃকারকে 'শূন্য' বিভক্তি : সুজন স্কুলে যায়।
কর্মকারকে 'শূন্য' বিভক্তি : ঘোড়া গাড়ি টানে।
করণ কারকে 'শূন্য' বিভক্তি : ছেলেরা বল খেলে।
সম্প্রদান কারকে 'শূন্য' বিভক্তি : ভিক্ষা দাও দেখিলে ভিক্ষুক।
অপাদান কারকে 'শূন্য' বিভক্তি : ট্রেনটি ঢাকা ছাড়ল।
অধিকরণ কারকে 'শূন্য' বিভক্তি : আমরা খুলনা যাব।
সকল কারকে 'এ' বা 'সপ্তমী' বিভক্তির প্রয়োগ
কর্তৃকারকে 'এ' বিভক্তি : পাগলে কী না বলে।
কর্মকারকে 'এ' বিভক্তি : জিজ্ঞাসিব জনে জনে।
করণ কারকে 'এ' বিভক্তি : জ্ঞানে বিমল আনন্দ লাভ হয়।
সম্প্রদান কারকে 'এ' বিভক্তি : দীনে দয়া কর।
অপাদান কারকে 'এ' বিভক্তি : তিলে তৈল হয়।
অধিকরণ কারকে 'এ' বিভক্তি : বনে বাঘ থাকে।
common.read_more